ইতিহাসঃ
২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গা পীড়িত কুড়িগ্রাম জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষ শিল্পাঞ্চল ও নদী ড্রেজিং এর প্রতিশ্রুতি দেন।তারই প্রেক্ষাপটে উনার নিজস্ব চিন্তা থেকে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। উচ্চ শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ এবং সম্প্রসারণ কার্যক্রমের অগ্রগতিকল্পে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে কৃষি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সম্প্রসারণ করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী এলাকার জমির জন্য গবেষণা ও কন্টাক্ট ফার্মিং এর জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়।[২]
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি ২৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে কমিটির পক্ষে ফজলে হোসেন বাদশা সংসদে চূড়ান্ত বিল পেশ করেন। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংসদে বিলটির বিষয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা শেষে শিক্ষামন্ত্রী দিপুমনি বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে কণ্ঠ ভোটে পাস হয়। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার অব্যবহিত টেক্সটাইল মিল ক্যাম্পাসে অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যতিনেরহাট নামক এলাকার নিকটবর্তী বেলগাছা ও মোগলবাসা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী নালিয়া দোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে। ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম জাকির হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।